কবি কর্ণপুরের গৌর গণোদ্দেশ দীপিকা দ্বাদশ গোপালের তালিকা করেছেন: অভিরাম (বা রামদাস অভিরাম), উদ্ধারণ দত্ত, কমলাকর পিপলাই, কালাকৃষ্ণ-দাস, গৌরীদাস পণ্ডিত, পরমেশ্বরী দ্বাস, ধনঞ্জয় পণ্ডিত, পুরুষোত্তম দত্ত (বা নাগর-পুরুষোত্তম), পুরুষোত্তম- দাস, মহেশ-পণ্ডিত, কলাবেচা শ্রীধর এবং সুন্দরানন্দ-ঠাকুর। অন্যান্য সূত্রে, ত্রয়োদশতম হলায়ুধ-ঠাকুরের নাম যোগ করা হয়েছে।
আরও সুপরিচিত গোপালগণ (উদাহরণস্বরূপ, অভিরাম, গৌরীদাস, কমলাকর পিপলা, পুরুষোত্তম-দাস এবং উদ্ধারণ দত্ত) "শক্তির স্বাধীন কেন্দ্র" প্রতিষ্ঠা করেছিলেন যা শ্রীপাট নামে পরিচিত। গোপালগণ ছিলেন গৌড়ীয় বৈষ্ণবধর্মের "প্রথম সংগঠিত দল এবং নাম - ধর্ম [ঈশ্বরের (কৃষ্ণ) নামের ধর্মতত্ত্ব ] প্রচারের উদ্দেশ্যে সরাসরি শ্রী চৈতন্য কর্তৃক নিযুক্ত।" তাদের নিজস্ব এলাকায় চৈতন্য বৈষ্ণব মতবাদ প্রচার করা এবং দান সংগ্রহ করার অধিকার ছিল তাদের শ্রীপাটের জন্য, যা তাদের দ্বারা ধীরে ধীরে বৈষ্ণব ধর্মের কেন্দ্র বা পবিত্র স্থানে পরিণত হয়েছিল। দ্বাদশ প্রধান গোপালের মধ্যে তিন জন ছিলেন নিম্ন (শূদ্র) বর্ণের।
'গৌর গণোদ্দেশ দীপিকা'-তে দ্বাদশ গোপালের আধ্যাত্মিক পরিচয় দেওয়া হয়েছে। তারা হলেন:
- শ্রীদাম - (অভিরাম)
- সুদাম - (সুন্দরানন্দ)
- বসুদাম - (ধনঞ্জয়)
- সুবল - (গৌরীদাস)
- মহাবল - কমলাকর পিপলাই
- সুবাহু - উদ্ধারণ দত্ত
- মহাবাহু -মহেশ
- স্তোককৃষ্ণ -পুরুষোত্তম-দাস
- দাম -পুরুষোত্তম দত্ত
- লবঙ্গ -কালাকৃষ্ণ-দাস
- অর্জুন -পরমেশ্বরী দাস
- মধুমঙ্গল - কলাবেচা শ্রীধর
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন