ভাগবত ও পুরাণ পাঠ

ভাগবত ও পুরাণ পাঠ :গৌর গদাধর সম্প্রদায় (সাটুই , মুর্শিদাবাদ)

Breaking

Post Top Ad

০৬ আগস্ট ২০২৪

রামের জীবনে ১১ অজানা তথ্য

রামের জীবনে ১১ অজানা তথ্য
  • বিষ্ণুর দশ অবতারের মধ্যে রাম সপ্তম অবতার। রামের আগেও বিষ্ণু মৎস্য, কুর্ম, বরাহ, নরসিংহ, বামন, পরশুরাম অবতারে মর্ত্যে অবতরণ করেছিলেন। রামের পর বিষ্ণুর অষ্টম অবতার হল কৃষ্ণ।
  • প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী মনুষ্যরূপে জন্মগ্রহণ করা বিষ্ণুর অবতার রাম সবচেয়ে পুরনো আরাধ্য দেবতা। ত্রেতাযুগে জন্মগ্রহণ করেছিলেন রাম। যা আজ থেকে প্রায় ১২ লক্ষ ৯৬,০০০ হাজার বছর আগে শেষ হয়েছে। সেই সময় থেকে জনগণ রামের আরাধনা করে আসছেন
  • ইক্ষ্বাকু বংশে জন্মগ্রহণ করেছিলেন রাম। সূর্য পুত্র ইক্ষ্বাকু এই বংশ স্থাপন করেন। তাই রামকে সূর্য বংশী বলা হয়ে থাকে।
  • বিষ্ণু সহস্ত্রনামের মধ্যে বিষ্ণুর ৩৯৪তম নাম হল রাম।
  • রঘুবংশের গুরু মহর্ষি বশিষ্ঠ দশরথের জ্যৈষ্ঠ পুত্রের নামকরণ করেন রাম। অগ্নি বীজ ও অমৃত বীজের মাধ্যমে রাম নামের উৎপত্তি। এই শব্দ মস্তিষ্ক, শরীর ও আত্মাকে শক্তি প্রদান করে।
  • শিব বলেছিলেন যে, তিন বার রাম নাম উচ্চারণ করলে হাজার দেবদেবীকে স্মরণ করার সমান ফল পাওয়া যায়। আপনিও জেনে চমকে যাবেন যে শিব স্বয়ং ধ্যানমগ্ন অবস্থায় রাম নাম জপ করেন।
  • বজরংবলীর সঙ্গে যুদ্ধে পরাজিত হয়েছিলেন রাম। পুরাণ অনুযায়ী ঋষি বিক্রামাদিত্য রামকে কাশীর রাজা য়ায়াতির বধের আদেশ দেন। প্রাণ রক্ষার জন্য কাশীরাজের ডাকে রণক্ষেত্রে নামেন বজরংবলী। রাম ও হনুমানের মধ্যে জোর যুদ্ধ বাঁধে। হনুমান রাম নাম জপ করতে থাকেন, যে কারণে রামের কোনও প্রহারই বজরংবলীর শরীরে আঁচড় কাটে না। অবশেষে রাম নিজের পরাজয় স্বীকার করেন।
  • সীতাকে উদ্ধার করতে লঙ্কা যাওয়ার জন্য বানর সেনার সাহায্যে রাম সেতু নির্মাণ করেন রাম-লক্ষ্মণ। রাম সেতুর প্রধান কারিগর ছিলেন নল ও নীল। এই সেতু নির্মাণ করতে ৬ দিন লাগে ও এর দৈর্ঘ্য ছিল ৩০ কিলোমিটার।
  • দেবী মহামায়ার সামনে বলি দেওয়াপ উদ্দেশে রাম ও লক্ষ্মণকে অপহরণ করেন অহিরাবণ। কিন্তু অহিরাবণের হত্যা করে তাঁদের উদ্ধার করেন বজরংবলী।
  • মন্থরার কুপরামর্শে কৈকীয় দশরথের কাছে বর চেয়ে রাবণকে ১৪ বছরের বনবাসে পাঠান, এই তথ্য সকলেরই জানা। তবে অনেকে জানেন না যে রামকে বনবাসে পাঠিয়ে মন্থরা নিজের প্রতিশোধ তোলেন। পুরাণ অনুযায়ী একদা রাম খেলার সময় নিজের খেলনা দিয়ে ভুল করে মন্থরার কুঁজো পিঠে আঘাত করেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন মন্থরা ও এর প্রতিশোধ তোলার প্রতিজ্ঞা করেন। নিজের প্রতিজ্ঞা পূরণের জন্যই কৈকেয়ীকে ব্যবহার করে রামকে ২৪ বছরের বনবাসে পাঠান তিনি।
  • প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী কাঠবিড়ালীর পিঠে যে সাদা-কালো লম্বা দাগ সেটি আসলে রামের আঙুলের দাগ। সেতু বন্ধনের সময় কাঠবিড়ালীও যথাসাধ্য সাহায্য করে। তাদের এই চেষ্টা দেখে রাম মুগ্ধ হন ও কাঠবিড়ালীকে হাতে তুলে তার পিঠে আদর করেন। মনে করা হয় তখন থেকেই কাঠবিড়ালীর পিঠে সাদা-কালো দাগ পড়ে।
  • ১১ হাজার বছর ধরে অযোধ্যায় রাজত্ব করেছিলেন রাম। এই স্বর্ণ যুগই রাম রাজ্য নামে পরিচিত।
  • মনে করা হয় সীতার পাতাল প্রবেশের পর রাম ধরিত্রীকে ত্যাগ করে সরযূ নদীতে জল সমাধি নেন।
                                                            

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Post Top Ad

Your Ad Spot