ভাগবত ও পুরাণ পাঠ

ভাগবত ও পুরাণ পাঠ :গৌর গদাধর সম্প্রদায় (সাটুই , মুর্শিদাবাদ)

Breaking

Post Top Ad

০৯ জুলাই ২০২৪

মহাভারত বিচিত্র তথ্যাবলী—

 মহাভারত বিচিত্র তথ্যাবলী—

(১) মহাভারত বিশ্বের বৃহত্তম মহাকাব্য। এত দীর্ঘ মহাকাব্য এবং এত বেশি সংখ্যক চরিত্রের সন্নিবেশ বিশ্বের আর কোনও মহাকাব্যে পাওয়া যায় না।

(২) মহাভারতের স্রষ্টা— পরাশর-কুমারী সত্যবতী পুত্র এবং শুকদেবের পিতা— মহর্ষি কৃষ্ণ দ্বৈপায়ন বেদব্যাস। তিনি মূল মহাভারত রচনা করেছিলেন সংস্কৃত বা দেবভাষায়।

(৩) বর্তমান মহাভারতের শ্লোক সংখ্যা এক লক্ষ (শুরু হয়েছিল আট হাজার আটশো শ্লোক দিয়ে)।

(৪) মূল সংস্কৃত থেকে ব্যাসদেবের মহাভারতের প্রথম অবিকৃত বঙ্গানুবাদ করেন মহাত্মা কালীপ্রসন্ন সিংহ। এবিষয়ে তাঁকে পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর-সহ আরও বহু দেশখ্যাত বিদগ্ধ জ্ঞানীজনেরা সাহায্য করেছিলেন।

(৫) কাশীরাম দাস পয়ারাদি ছন্দে যে বাংলা মহাভারত লিখেছিলেন, সেটা মূলতঃ ব্যাসদেবের মহাভারতের ওপরে নির্ভরশীল হলেও কখনই ব্যাসদেবের মহাভারতের আক্ষরিক বঙ্গানুবাদ নয়। তিনি তাঁর নিজের মতো করেই সেই মহাভারত লিখেছিলেন।

(৬) প্রাচীনত্বের দিক থেকে বিশ্বের আদিকাব্য— মহর্ষি বাল্মীকি রচিত রামায়ণের পরেই মহর্ষি ব্যাসদেব রচিত মহাভারতের স্থান।

(৭) প্রাচীনপন্থীদের মতে খৃষ্টের জন্মের তিন হাজার বছর আগে মহাভারত লেখা হয়েছিল। প্রবোধচন্দ্র সেনগুপ্ত জানিয়েছিলেন যে, খৃষ্টপূর্ব ২৪৪৯ অব্দে কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধ হয়েছিল। আবার বঙ্কিমচন্দ্রের মতে, কুরুক্ষেত্র যুদ্ধের সময়কাল ছিল— খৃষ্টপূর্ব ১৫৩০ বা ১৪৩০ অব্দ। অন্যদিকে বালগঙ্গাধর তিলক, যোগেশচন্দ্র রায় বিদ্যানিধি প্রমুখের মতে খৃষ্টের জন্মের ১৪০০ বছর আগে মহাভারতের যুদ্ধ হয়েছিল। ইউরোপীয় পণ্ডিতরা মনে করেন যে— খৃষ্টের জন্মের ৪০০ থেকে ৫০০ বছর আগে মহাভারত লেখা হয়েছিল। রমেশচন্দ্র দত্ত এবং প্র্যাট্‌–এর মতে খৃষ্টপূর্ব দ্বাদশ শতাব্দীতে এই মহাকাব্যের জন্ম হয়েছিল। ডঃ সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণণের মতে খৃষ্টের জন্মের পাঁচশো বছর আগে মহাভারত নিজের বর্তমান আকার পেয়েছিল। এককথায়— এই মহাকাব্যের রচনাকাল নিয়ে পণ্ডিতদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে মতের লড়াই চলছে এবং এখনও সেই লড়াই অসমাপ্ত।

(৮) বর্তমানের লক্ষশ্লোকী মহাভারত আঠারো পর্বে বিভক্ত; পর্বগুলো এরকম— ।১। আদি, ।২। সভা, ।৩। বন, ।৪। বিরাট, ।৫। উদ্যোগ, ।৬। ভীষ্ম, ।৭। দ্রোণ, ।৮। ।কর্ণ, ।৯। শল্য, ।১০। সৌপ্তিক, ।১১। স্ত্রী, (একটা সময়ে মূল মহাভারত এখানেই শেষ হয়েছিল, এরপরের পর্বগুলো প্রক্ষিপ্ত, অৰ্থাৎ— পরবর্তী সময়ের রচনা) ।১২। শান্তি, ।১৩। অনুশাসন, ।১৪। অশ্বমেধ, ।১৫। আশ্রমবাসিক, ।১৬। মুষল, ।১৭। মহাপ্রস্থান এবং ।১৮। স্বর্গারোহণ।


(৯) মহাপ্রস্থানের পথে দ্রৌপদী এবং চার পাণ্ডবের যথাক্রমে পতনের কারণ—

দ্রৌপদী→ অর্জুনের প্রতি বিশেষ পক্ষপাত।

সহদেব→ ‘আমার মতো বুদ্ধিমান আর কে থাকতে পারেন?’—এই অহংকার।

নকুল→ ‘আমার মতো সুন্দর আর কেউ নেই’—এই অহংকার।

অর্জুন→ ‘সব শত্রুকে আমি একদিনেই বধ করব’ এবং ‘আমার মত ধনুর্ধর আর কেউ নেই’—এই অহংকার।

ভীম→ মাত্রাতিরিক্ত ভোজন আর অন্যের শক্তি না জেনে সদম্ভ আস্ফালন।


(১০) অজ্ঞাতবাসে থাকাকালীন পাণ্ডবদের ব্যবহৃত ছদ্মনাম ও কাজ—

যুধিষ্ঠির→ কঙ্ক→ রাজার সাথে পাশা খেলা।

ভীম→ বল্লব/ বল্লভ→ পাচকের কাজ, রান্নাবান্না।

অর্জুন→ বৃহন্নলা→ উত্তরাকে নাচ-গান শেখানো।

নকুল→ গ্রন্থিক→ অশ্বশালার তত্ত্বাবধান।

সহদেব→ তন্তিপাল→ গোশালার তত্ত্বাবধান।

দ্রৌপদী→ সৈরিন্ধ্রী→ রানী সুদেষ্ণার পরিচারিকার কাজ— চুল বাঁধা, রানীর গায়ে সুগন্ধী মাখানো, মালা গাঁথা, ইত্যাদি।


(১১) পাণ্ডবপক্ষের শঙ্খের নাম—

শ্রীকৃষ্ণ→ পাঞ্চজন্য

যুধিষ্ঠির→ অনন্তবিজয়

ভীম→ পৌন্ড্র

অর্জুন→ দেবদত্ত

নকুল→ সুঘোষ

সহদেব→ মণি-পুষ্পক


(১২) এক অক্ষৌহিণী সৈন্যের হিসাব—

পদাতিক→ ১,০৯,৩৫০ জন

ঘোড়া→ ৬৫,৬১০টি

হতি→ ২১,৮৭০টি

রথ→ ২১,৮৭০টি

মোট→ ২,১৮,৭০০

এগুলোকে একত্রে বলা হত— চতুরঙ্গ সেনা।


(১৩) কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে মূল হন্তা ও হত তালিকা—

যুধিষ্ঠির→ শল্য

ভীম→ দুর্যোধনসহ গান্ধারীর শতপুত্র

অর্জুন→ জয়দ্ৰথ, কর্ণ, বৃষসেন, সুশর্মা

সহদেব→ শকুনি, উলুক

কর্ণ→ ঘটোৎকচ

দ্রোণ→ দ্রুপদ, বিরাট

ধৃষ্টদ্যুম্ন→ দ্রোণ, শাল্ব

অশ্বত্থামা→ ধৃষ্টদ্যুম্ন, দ্রৌপদীর পাঁচ পুত্র, পরীক্ষিত (কৃষ্ণ কর্তৃক পুনর্জীবিত)

দ্রোণ, কৃপ, কর্ণ, অশ্বত্থামা, বৃহদ্বল, কৃতবর্মা দুঃশাসনের ছেলে; বা মতান্তরে— দ্রোণ, কৃপ, কর্ণ, অশ্বত্থামা, শকুনি, জয়দ্রথ এবং দুঃশাসন; বা মতান্তরে— কর্ণ, দুঃশাসন, কৃপাচার্য, দুর্যোধন, দ্রোণাচার্য, অশ্বত্থামা এবং জয়দ্রথ→ অভিমন্যু


(১৪) কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধ মোট ১৮ দিন ধরে চলেছিল।

(১৫) যুদ্ধ শেষে দু’পক্ষ মিলিয়ে মাত্র ১১ জন জীবিত ছিলেন। পাণ্ডব পক্ষে— পঞ্চপাণ্ডবসহ, সাত্যকি, শ্রীকৃষ্ণ ও যুযুৎসু (দুর্যোধনের বৈমাত্রেয় ভাই, ধৃতরাষ্ট্র ও দাসীর পুত্র; যুদ্ধ শুরুর আগে পক্ষ পরিবর্তন করেছিলেন); কৌরব পক্ষে— অশ্বত্থামা, কৃপাচার্য আর কৃতবর্মা।

(১৬) অর্জুনের কপিধ্বজ রথের উপরে বসে হনুমান কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধ প্রত্যক্ষ করেছিলেন।

(১৭) যুধিষ্ঠিরের রাজসূয় যজ্ঞে লঙ্কারাজ বিভীষণও উপস্থিত ছিলেন। সেখানে প্রথমে যুধিষ্ঠিরকে প্রণাম করতে চাননি এবং জানিয়েছিলেন— ‘কৃষ্ণ ছাড়া আর কারো কাছে আমি মাথা নত করব না, কারণ— আমি রামের কাছে এই মাথা নত করেছি।’ কিন্তু কৃষ্ণ স্বয়ং যখন যুধিষ্ঠিরকে সাষ্টাঙ্গ প্রণাম করেছিলেন, তখন বিভীষণ তাতে লজ্জা পেয়ে যুধিষ্ঠিরকে প্রণাম করেছিলেন।

(১৮) মহাভারতের কয়েকটি প্রাচীন সংস্করণ অনুসারে— রাবণের সৎ দাদা কুবেরের সঙ্গে পাণ্ডবদের খুবই বন্ধুত্ব ছিল।

(১৯) দ্রৌপদী-যুধিষ্ঠিরের একান্তে কথা বলবার সময়ে ঘরে ঢুকে পড়বার ফলে, পাঁচ ভাইয়ের মধ্যে হওয়া পূর্বশর্ত মত অর্জুন ব্রহ্মচর্য পালন করবার জন্য বারো বছরের জন্য বনে গেলেও ব্রহ্মচর্য কিন্তু পালন করেননি। বরং ওই বারো বছরে তিনি একের পর এক বিবাহ করে বছরের পর বছর শ্বশুরবাড়িতে কাটিয়ে দিয়েছিলেন।

(২০) মহাপ্রস্থানের আগেও অর্জুন অন্ততঃ দু’বার মারা গিয়েছিলেন— একবার যক্ষরূপী ধর্মের হাতে, এবং আরেকবার নিজের পুত্র বভ্রুবাহনের হাতে। (দ্রষ্টব্যঃ— যক্ষরূপী ধর্মের হাতে ভীম, নকুল ও সহদেবও মারা পড়েছিলেন।

(২১) কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে— ‘অস্ত্র ধরব না’ —বলেও কৃষ্ণ দু’বার সুদর্শন চক্র নিয়ে ভীষ্মকে মারবার জন্য তেড়ে গিয়েছিলেন— একবার যুদ্ধের তৃতীয় দিনে, এবং আরেকবার নবম দিনে। তবে পণ্ডিত সুখময় ভট্টাচার্য শাস্ত্রী সপ্ততীর্থের মতে— এই ঘটনাটি সম্ভবতঃ একবারই ঘটেছিল— নবম দিনে। তৃতীয় দিনের উল্লেখ পুনৰ্কৰ্থন হয়ে থাকবে। ভীষ্ম— অর্জুন আর দ্রৌপদীর মতোই অসামান্য কৃষ্ণ-ভক্ত ছিলেন। ভীষ্মের তীব্র ইচ্ছা ছিল যে— তিনি তাঁর ইষ্টদেবতার প্রতিজ্ঞা ভঙ্গ করাবেন, খুব সম্ভবতঃ এটা তাঁর আরেকটা প্রতিজ্ঞা ছিল।

(২২) রামায়ণের মত মহাভারতেও বিমানের উল্লেখ পাওয়া যায়। শাল্ব নামের একজন রাজা ‘সৌভ’ নামের একটি বিমান থেকে কৃষ্ণের সঙ্গে যুদ্ধ করেছিলেন। কৃষ্ণ সুদর্শন চক্র দিয়ে বিমানসহ তাঁকে ধ্বংস করেছিলেন।

(২৩) বৈবস্বত মনুর কন্যা ইলা মহাদেবের আশীর্বাদে একমাস পুরুষ আর একমাস নারী হয়ে থাকতে পারতেন।

(২৪) শিখণ্ডী প্রথমে নারী হয়ে জন্মেছিলেন। সেই অবস্থাতেই দ্রুপদ রাজা হিরণ্যবর্মার কন্যার সাথে তাঁর বিবাহ দিয়েছিলেন। কিন্তু বিবাহের পরে সত্যি জানতে পেরে সেই কন্যা তাঁর পিতার কাছে সব ফাঁস করে দিলে দ্রুপদের সাথে হিরণ্যবর্মার যুদ্ধ বেঁধে গিয়েছিল। তখন আত্মহত্যা করতে গিয়ে শিখণ্ডী কুবেরের চর স্থূণাকর্ণের কাছ থেকে পৌরুষ ধার করেছিলেন। কিন্তু কুবেরের শাপে তাঁর সেই ধার আর কখনো শোধ হয়নি। শিখণ্ডী মৃত্যুপর্যন্ত পুরুষই থেকে গিয়েছিলেন, আর স্থূণাকর্ণকে নারী হয়েই থাকতে হয়েছিল।

(২৫) রামায়ণ-মহাভারতে অযোণীসম্ভূত শিশুর কোন অভাব দেখা যায় না।

(২৬) যুধিষ্ঠির মার্কণ্ডেয় মুনির কাছে রামায়ণ শুনেছিলেন।

(২৭) দ্রৌপদীর অবমাননা সহ্য করতে না পেরে কুরুসভায় ভীম যুধিষ্ঠিরের হাত পুড়িয়ে দিতে চেয়েছিলেন।

(২৮) একবার গাণ্ডীবের অপমান করবার জন্য অর্জুন তাঁর পূর্বপ্রতিজ্ঞাবশতঃ যুধিষ্ঠিরকে হত্যা করতে উদ্যত হয়েছিলেন।

(২৯) কুরুক্ষেত্রে যুদ্ধের সময়ে যুধিষ্ঠিরের বয়স ছিল— ৬৫ বছর, ভীম আর দুর্যোধনের— ৬৪ বছর, অর্জুন আর কৃষ্ণের— ৬৩ বছর, নকুল আর সহদেবের— ৬২ বছর। (মতভেদ রয়েছে)


(৩০) মহাভারতের মূল চরিত্রগুলির মোট আয়ুষ্কাল এরকম (মতভেদ রয়েছে)—

কৃষ্ণ→ ১০৭ বছর (১০৬+)

যুধিষ্ঠির→ ১০৯ বছর (১০৮+)

ভীম→ ১০৮ বছর (১০৭+)

অর্জুন→ ১০৭ বছর (১০৬+)

নকুল→ ১০৬ বছর (১০৫+)

সহদেব→ ১০৬ বছর (১০৫+)

দ্রৌপদী→ কম-বেশি ১০০ বছর

দুর্যোধন→ ৬৪ বছর (৬৩+)

অভিমন্যু→ ১৬ বছর


(৩১) বিরাট রাজার বাড়িতে আশ্রয় নিয়ে থাকবার সময়ে প্রকাশ্য ছদ্মনাম ছাড়াও পাণ্ডবরা নিজেরদের যেসব সাংকেতিক নামে ডাকতেন, সেগুলো নিম্নরূপ—

যুধিষ্ঠির→ জয়

ভীম→ জয়ন্ত

অর্জুন→ বিজয়

নকুল→ জয়ৎসেন

সহদেব→ জয়দ্বল

লক্ষ্যণীয় যে, সবার নামেই ‘জয়’ শব্দটাকে রাখা হয়েছিল।


(৩২) কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধ যাতে এড়ানো যায়— সেই উদ্দেশ্যে যুধিষ্ঠির দুর্যোধনের কাছে যে পাঁচটা গ্রাম চেয়েছিলেন, সেগুলোর নাম— কুশস্থল, বৃকস্থল, মাকন্দি, বারণাবত এবং অন্য যেকোন একটি গ্রাম; মতান্তরে— পাণিপ্রস্থ (পানিপথ), সোনপ্রস্থ, ইন্দ্রপ্রস্থ, তিলপ্রস্থ এবং ভাগপ্রস্থ।

(৩৩) মহাভারতে দুর্যোধনের স্ত্রীর নাম পাওয়া যায় না। তবে ভট্টনারায়ণ রচিত বেণীসংহার নাটকে ভানুমতীকে দুর্যোধনের স্ত্রী বলা হয়েছে বলে দেখা যায়। এই ভানুমতী অত্যন্ত সুন্দরী ছিলেন। কলিঙ্গরাজ চিত্রাঙ্গদ তাঁর পিতা ছিলেন। দুর্যোধন স্বয়ংবর সভা থেকে ভানুমতীকে জোর করে তুলে নিয়ে এসেছিলেন। অনেকের মতে ভানুমতী ছাড়াও সম্ভবতঃ তাঁর আরও অনেক স্ত্রী ছিল।

(৩৪) এক বছরের অজ্ঞাতবাসের উদ্দেশ্যে বিরাটনগরে প্রবেশ করবার আগে যুধিষ্ঠির কৃত্তিবাসের রামের মতোই দুর্গার আরাধনা করেছিলেন, এবং দুর্গার আশীর্বাদ মাথায় নিয়েই তিনি বিরাটনগরে প্রবেশ করেছিলেন।

(৩৫) কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে অংশ নেওয়া রথী মহারথীরা মারাত্মক সব অস্ত্রের (দিব্যাস্ত্র) ব্যবহার জানলেও, তাঁরা কেউই সেগুলোর খুব একটা ব্যবহার করেননি। ভীষ্ম ও দ্রোণ— সমগ্র যুদ্ধে একবারও দিব্যাস্ত্রের ব্যবহার করেননি; অন্যদিকে সেই যুদ্ধে অর্জুন— তিনবার (জয়দ্রথ, কর্ণ ও অশ্বত্থামার উপরে), কর্ণ— দু’বার (ঘটোৎকচ ও অর্জুনের উপরে), অশ্বত্থামা— দু’বার (অর্জুন ও পঞ্চপাণ্ডবের উপরে চালাতে গিয়ে ব্যাসের বাধা পেয়ে উত্তরার গর্ভস্থ পরীক্ষিতের উপরে) এবং যুধিষ্ঠির মাত্র একবার (শল্যের বিরুদ্ধে) দিব্যাস্ত্র ব্যবহার করেছিলেন।




কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Post Top Ad

Your Ad Spot