ভাগবত ও পুরাণ পাঠ

ভাগবত ও পুরাণ পাঠ :গৌর গদাধর সম্প্রদায় (সাটুই , মুর্শিদাবাদ)

Breaking

Post Top Ad

১৬ জুলাই ২০২৪

ভগবান শ্রীকৃষ্ণের বাঁশি

 ভগবান শ্রীকৃষ্ণ তিন প্রকার বাঁশি ব্যবহার করেন।তার একটিকে বলা হয় বেণু,অন্যটি মুরলী এবং আরেকটি বংশী।বেনু অত্যন্ত ছোট,তাতে ৬ টি ছিদ্র থাকে।মুরলীর দৈর্ঘ্য প্রায় আঠারো ইঞ্চি।যাতে এক প্রান্তে ১ টি,গায়ে ৪ টি ছিদ্র।বংশী প্রায় ১৫ ইঞ্চি।তাতে ৯ টি ছিদ্র থাকে। শ্রীকৃষ্ণ প্রয়োজন অনুসারে এই তিন রকমের বাঁশি বাজান। শ্রীকৃষ্ণের আর একটি বংশী আছে যা আরও লম্বা, যাকে বলা হয় মহানন্দ বা সম্মোহনী। তা যখন তার থেকেও লম্বা হয়, তখন বলা হয় আকর্ষণী। তা যখন তার থেকেও লম্বা হয় তখন তাকে বলা হয় আনন্দিনী।এই "আনন্দিনী" বংশীধ্বনি গোপ বালকদের অত্যন্ত প্রিয়। এর আর একটি নাম বংশুলী ।এই বাঁশীগুলি কখনো কখনো মণিরত্ন খচিত থাকে, কখনো তা মর্মর দিয়ে তৈরী হয় এবং কখনো কখনো বাঁশ দিয়ে তৈরী হয়।বাঁশি যখন মণিরত্ন দিয়ে তৈরী হয় তখন তাকে বলা হয় সম্মোহনী।আর যখন তা স্বর্ণ দিয়ে তৈরি হয়, তাকে বলা হয় আকর্ষণী।

(১) বেণু -  অত্যন্ত ছোট, তা ছয় ইঞ্চির বেশি দীর্ঘ নয়, এবং তাতে ছয়টি ছিদ্র থাকে।

(২) মুরলী-  দৈর্ঘ্য প্রায় আঠার ইঞ্চি । তার একপ্রান্তে একটি ছিদ্র থাকে এবং তার গায়ে চারটে ছিদ্র থাকে । এই মুরলী অত্যন্ত মনোমুগ্ধকর সুর সৃষ্টি করে ।

(৩) বংশী- প্রায় পনের ইঞ্চি লম্বা, এবং তাতে নয়টি ছিদ্র থাকে ।

বিদগ্ধ মাধব গ্রন্থে শ্রীল রুপ গোষ্মামী ভগবান শ্রীকৃষ্ণের বংশী ধ্বনির বনর্না করে বলেছেন, "শ্রী কৃষ্ণের বাঁশির অপূর্ব সুন্দর সুরের প্রভাবে শিবের ডমরু বাজানো বন্ধ হয়ে গেছে,প্রজাপতি দেব ব্রহ্মার চমকিত হয়ে গেলেন।সমস্ত দেব দেবীরা এমন সুন্দরের চেয়ে সুন্দর সুর শ্রবন করে ভগবানকে প্রনতি নিবেদন করেন মহা আনন্দে।অনন্ত শেষনাগ বাঁশি শ্রবন করে তার মস্তক আন্দোলন করতে শুরু করল।ব্রহ্মান্ড ভেদ করে বৈকুন্ঠলোকে ধ্বনিত হয়েছে।ভূল হলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।আমি মূর্খ,অধম।কিছুই জানিনা।
জয় শ্রী ভগবান বংশীধারী শ্রীরাধামাধব। 



কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Post Top Ad

Your Ad Spot