ভাগবত ও পুরাণ পাঠ

ভাগবত ও পুরাণ পাঠ :গৌর গদাধর সম্প্রদায় (সাটুই , মুর্শিদাবাদ)

Breaking

Post Top Ad

১৬ জুলাই ২০২৪

সনাতন ধর্মে জাতিভেদ

 হিন্দু বা সনাতন ধর্মে জাতিভেদ তো ছিলই না,

এমনকি প্রথমদিকে বর্ণভেদ বা বর্ণাশ্রম ও ছিল না।

জাতিভেদ প্রথার ইতিহাস :- 

(১) বৈদিক যুগ : আর্যরা প্রথম দিকে যাযাবর ছিল । পরে তারা আগুন লাগিয়ে জঙ্গল পরিষ্কার করে স্থায়ীভাবে বসবাস করতে থাকে। ক্রমশ তারা কৃষিকাজ করতে শিখে । প্রথমের দিকে ব্যক্তিগত উদ্যোগ বলে কিছু ছিল না । সব কিছু ছিল যৌথ । এই সময় জাতিভেদ প্রথা ছিল না । কিন্তু যখন আর্যরা অনার্যদের সংস্পর্শে আসে তখন থেকেই সমাজে ‘দেব’ ও ‘অসুর’ অথবা ‘আর্য’ এবং ‘দাস’- এই দুটি বর্ণের উদ্ভব ঘটে । কৃষ্ণবর্ণ বা অনার্যদের আর্য সমাজে অন্তরর্ভুক্ত করা হয় । কিন্তু শ্বেতবর্ণ আর্যদের থেকে তারা পৃথক থাকত । এরপর কৃষিকার্যের প্রসারের ফলে জীবনযাত্রা অনেক সহজ ও সরল হয়ে পড়ে । কৃষিকার্যে লোহার ব্যবহারের জন্য উপাদন বৃদ্ধি পায়, তখন থেকে যৌথ জীবনযাত্রার প্রয়োজনীয়তা ক্রমশ কমতে থাকে । আর্যরা তিনটি ভাগে বিভক্ত হয়ে যায় । যারা কৃষিকাজ, পশুপালন ও ব্যবসাবাণিজ্য নিয়ে রইল তারা ‘বৈশ্য’ নামে পরিচিত হয় । উদবৃত্ত সম্পদ ও উপাদন নিয়োজিত হয় দুটি নতুন বর্ণ অর্থাৎ ব্রাহ্মণ এবং ক্ষত্রিয়দের ভরণপোষণের জন্য। এই ভেদের ভিত্তি কিন্তু গাত্রবর্ণ ছিল না, ছিল পেশাগত । ব্রাহ্মণরা বেদপাঠ, যাগযজ্ঞ, আরাধনা ইত্যাদি নিয়ে থাকত । ক্ষত্রিয়দের কাজ ছিল নিরাপত্তা বিধান ও প্রশাসন । এই তিন বিভাগের নীচে ছিল শূদ্র বা দাস । এইভাবে আর্যসমাজ চারটি বর্ণে বিভক্ত হয়ে যায়। প্রথম দিকে এই বর্ণ প্রথা বংশানুক্রমিক ছিল না। কর্মের ভিত্তিতে বর্ণ স্থির হত । বৈদিক সাহিত্যে উল্লিখিত হয়েছিল যে, বিশ্বামিত্র জন্মসূত্রে ক্ষত্রিয় হলেও বিদ্যাচর্চায় উকর্ষতার জন্য ব্রাহ্মণ রূপে পরিগণিত হন । অনুরূপ ভাবে ব্রাহ্মণও ক্ষত্রিয় হতে পারতেন । বৈশ্য ও শূদ্ররাও প্রতিভাবলে তাদের অবস্থার উন্নতি ঘটাতে পারত।

ব্যক্তিগত উদ্যোগের ফলে ব্যক্তি সম্পত্তির উদ্ভব হয় । যে-কোনো মানুষ দাস ও বলদের সাহায্যে জমি পরিস্কার করে তার মালিক হতে পারত। শিল্পকর্মে তখনও যৌথ উদ্যোগ ছিল। প্রাপ্ত আয় প্রত্যেকের মধ্যে ভাগ করে নেওয়া হত। এইসব পরিবর্তনের ফলে আর্যদের উপজাতি জীবন বা বিশ পরিবর্তিত হয় রাষ্ট্রে। বিশপতির স্থান নেয় ভূপতি । রাষ্ট্র ব্যক্তিসম্পত্তি রক্ষার দায়িত্ব গ্রহণ করে। সেই সঙ্গে রাষ্ট্র দাবি করে ব্যক্তিগত আয়ের একটি অংশ বা ভাগ । পরিবর্তিত এই পরিস্থিতি ও জটিলতা থেকে বর্ণপ্রথা জাতিভেদ প্রথায় রূপান্তরিত হয়। পরবর্তী বৈদিক যুগে তাই আমরা দেখি বৃত্তি ভিত্তিক বিভাগের বদলে সমাজ বিভক্ত হচ্ছে জন্মের ভিত্তিতে এবং বিবাহ ও সামাজিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে আরোপিত হয়েছে নানা বিধিনিষেধ। এই সময়ে সমাজে ব্রাহ্মণ ও ক্ষত্রিয়ের প্রাধান্য সুপ্রতিষ্টিত হয়। সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে তারা কিছু লোভনীয় সুযোগসুবিধার অধিকারী হয়ে সুবাধাবাদী শ্রেণিতে উন্নীত হয়। যেমন,অনেক ব্রাহ্মণ নিষ্কর জমি বা ব্রহ্মদেয় সম্পত্তি লাভ করে। আবার অনেক ব্রাহ্মণ শিক্ষা বা বিদ্যাচর্চা ও ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানের বদলে দাস ও বেতনভুক কৃষি শ্রমিকদের মাধ্যমে জমিজমা চাষ করে প্রচুর বিত্তের অধিকারী হয়। রাজনৈতিক ক্ষমতার বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ক্ষত্রিয়দেরও মর্যাদা ও প্রাধান্য বৃদ্ধি পায়। ব্রাহ্মণ বা ক্ষত্রিয় কেউই সরাসরি উৎপাদনের সঙ্গে যুক্ত ছিল না। এই উৎপাদনের সঙ্গে বৈশ্যরা সরাসরি যুক্ত ছিল। কিন্তু তাদের সামাজিক মর্যাদা ছিল না। অন্যদিকে তদের উপর রাষ্ট্রের দাবি ছিল অত্যাধিক। শূদ্রদের অবস্থা ছিল সবচেয়ে করুণ। তবে ক্ষমতা ও যোগ্যতা থাকলে তারাও যে নিজেদের অবস্থার উন্নতি করতে পারে, এমনকি ক্ষত্রিয়দের সমপর্যায়ভুক্ত হতে পারে, তার প্রমাণ শূদ্র বংশীয় রাজা মহাপদ্ম নন্দ।

(২) খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতক: খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতকে ক্ষত্রিয়দের সামাজিক মর্যাদা ও প্রতিপত্তি উভয়ই বৃদ্ধি পায়, বিশেষত পূর্ব ভারতে। তাঁরা এমনকি ধর্ম আন্দলনেরও নেতৃত্ব দিতেন । মহাবীর ও সিদ্ধার্থ উভয়েরই জন্ম ক্ষত্রিয় বংশে । যুদ্ধবিগ্রহ ও প্রশাসনের সঙ্গে যুক্ত থাকলেও অনেক ক্ষত্রিয় চাষবাস, পশুপালন, ব্যাবসাবাণিজ্য, ইত্যাদি নিয়েও থাকত । বেদ ও শাস্ত্রজ্ঞ ক্ষত্রিয়ও বিরল ছিলনা । যাগযজ্ঞ ইত্যাদির গুরুত্ব হ্রাস পাওয়ায় ব্রাহ্মণরা কিছুটা অসুবিধায় পড়ে । পৌরহিত্য ও অধ্যাপনা তাদের মূল উপজীবিকা হলেও অনেকেই তা দিয়ে সংসার চালাতে পারত না । ফলে ক্ষত্রিয় ও বৈশ্য বৃত্তি যাতে তারা গ্রহণ করতে পারে সেজন্য গৌতম, বশিষ্ঠ, বৌধায়ন প্রভৃতিরা সেরকম নির্দেশ দিয়েছেন । তবে সব পেশায় তাদের অধিকার ছিল না । এই সময় বহু সৎ, গুণবান, চরিত্রবান ও পণ্ডিত ব্রাহ্মণ যেমন ছিলেন, তেমনই বহু অশিক্ষিত, লোভী ও সংকীর্ণচেতা ব্রাহ্মণও ছিলেন । অন্যদের তুলনায় ব্রাহ্মণরা বেশি সু্যোগ-সুবিধা পেত কিনা, বলা কঠিন; কারণ ব্রাহ্মণ্য ও বৌদ্ধ সূত্রে পরষ্পরবিরোধী তথ্য পাওয়া যায় । এই সময় বৈশ্যদের গুরুত্ব বৃদ্ধি পেয়েছিল । তাদের বিত্ত ও সম্পদ পর্যাপ্ত থাকলেও অনেকে তা জনকল্যাণে ব্যয় করত । ব্রাহ্মণ ও ক্ষত্রিয়দের মতো তাদেরও দ্বিজ বলা হত । শূদ্রদের বেশিরভাগ অনার্য হলেও কোনো কোনো আর্যও আর্থিক দুরাবস্থা ও অবনতির জন্য শূদ্রের স্তরে নেমে এসে ছিল। শূদ্রদের বেদ পাঠ ও বেদবাক্য শ্রবণ নিষিদ্ধ হলেও অল্পসংখ্যক শূদ্র শাস্ত্রজ্ঞ ছিলেন বলে জানা যায়। ধোপা, কামার, কুমোর, চামার, তাঁতি, চন্ডাল প্রভৃতি শ্রেণির মানুষ শূদ্র সম্প্রদায়ভুক্ত ছিল । এদের মধ্যে চন্ডালদের অবস্থা খুব খারাপ ছিল । মনুষ্য সম্প্রদায়ে তাদের স্থান সবার নীচে বলে মনু উল্লেখ করেছেন । তাদের ছোঁয়া লাগলে বা তাদের দিকে তাকালেও তা পাপ বলে মনে করা হত । এক বর্ণের সঙ্গে অন্য বর্ণের বিবাহ নিষিদ্ধ হলেও তা যে একদম হত না, তা কিন্তু নয় । এর ফলে বর্ণ সংকর জাতির উদ্ভব হয়ে ছিল । চন্ডালরা ছিল এর বড় উদাহরণ।

(৩) মৌর্য যুগ: কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্র ও মেগাস্থিনিসের বিবরণ থেকে মৌর্য যুগে বর্ণভিত্তিক সামাজিক জীবন ও জাতিভেদ প্রথার বিবরণ পাওয়া যায় । অর্থশাস্ত্রে বেশ কিছু সংকর জাতির উল্লেখ আছে । অসবর্ণ বিবাহের ফলে শূদ্ররা কিছু সামাজিক অধিকার লাভ করেছিল । অনুলোম (উচ্চবর্ণের পুরুষের সঙ্গে নিম্নবর্ণের নারীর বিবাহ) ও প্রতিলোম (নিম্নবর্ণের পুরুষের সঙ্গে উচ্চবর্ণের নারীর বিবাহ) বিবাহ প্রমাণ করে যে, অসবর্ণ বিবাহের প্রচলন ছিল । শাস্ত্রসন্মত বিবাহ হত একই বর্ণের ভিতর, যদিও গোত্র হত আলাদা । এই সময় কয়েকটি বৃত্তিভিত্তিক জাতির কথা আমরা জানতে পারি, যেমন- গোয়ালা, পশম শিল্পী, বেত শিল্পী, মণিকার, জ্যোতিষী, চিকিসক, নাপিত, জেলে, নট, নর্তক, গায়ক, বাদক, সৌভিক (ঐন্দ্রজালিক), চারণ ইত্যাদি । মেগাস্থিনিস ভারতের মানুষকে সাতটি জাতিতে বিভক্ত করেছেন, যথা- (১) দার্শনিক, (২) কৃষক, (৩) শিকারি ও পশুপালক, (৪) কারিগর, (৫) সৈনিক, (৬) পরিদর্শক বা গুপ্তচর এবং (৭) মন্ত্রণাদাতা । দার্শনিকরা ছিল সমাজের শীর্ষে । অন্যদিকে কৃষকেরা ছিল সংখ্যাগরিষ্ঠ । সৈনিকদের স্থান ছিল তাদের পরেই । মেগাস্থিনিস জাতি বৈষম্যের তীব্রতা লক্ষ করেছেন । এক জাতি অন্য জাতির পেশা গ্রহণ করতে পারত না, এবং তাদের মধ্যে বৈবাহিক সম্বন্ধও নিষিদ্ধ ছিল । মেগাস্থিনিসের এই জাতি বিভাগ ছিল কর্ম ও পেশা ভিত্তিক । তাঁর বর্ণনায় ভারতের বর্ণপ্রথার প্রতিফলন ঘটেনি।

(৪) গুপ্ত ও গুপ্তোত্তর যুগ: গুপ্ত ও তার পরবর্তী যুগে পেশা বা বৃত্তি পরিবর্তনের সুযোগ ছিল । পুরোহিত ও কারিগর শ্রেণীর মানুষ অস্ত্রশস্ত্র ধারণ করত এবং সৈনিকরাও ব্যবসাবাণিজ্য করত । এই সময় অসবর্ণ বিবাহ অপ্রচলিত ছিল না। তবে ব্যাপক হারে ভূমিদান থেকে বোঝা যায় যে, এই সময় ব্রাহ্মণদের প্রাধান্য অখুণ্ণ ছিল। গুপ্ত রাজারা বৈশ্য হলেও ব্রাহ্মণরা তাদের ক্ষত্রিয়ের মর্যাদা দিয়েছিল । ব্রাহ্মণরা এই সময় প্রচুর বিত্তের অধিকারী ছিল এবং অনেক সুযোগসুবিধা উপভোগ করত, যা নারদ তালিকাভুক্ত করেছেন তাঁর আইনবিধিতে। এই সময়ে জাতিগুলি বিভিন্ন শাখাপ্রশাখায় বিভক্ত হয়ে যায় । বিদেশিরা হিন্দু সমাজে অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় বিভিন্ন জাতি, বিশেষত ক্ষত্রিয়রূপে পরিগণিত হয় । বিভিন্ন উপজাতিও হিন্দু সমাজে ঠাঁই পায়। এই সময় শূদ্রদের অবস্থার উন্নতি হয়েছিল । তারা রামায়ণ, মহাভারত ও পুরাণ শোনার অধিকার পায় । ফা-হিয়েনের বিবরণ থেকে জানা যায় এই সময় চন্ডালদের সংখ্যা বেড়েছিল।

(৫) সুলতানী ও মোগল যুগ: ইসলামের আগমনে সনাতন ধর্ম প্রথম বড় challenge এর মুখে পড়ল।একদিকে ইসলামের সাম্যের বাণী আর অন্যদিকে রাষ্ট্র শক্তি কে কাজে লাগিয়ে প্রলোভন দেখানো। পূর্বতন বৌদ্ধ ধর্মে যাওয়া লোকগুলি ছাড়া নতুন কিছু লোক ও ইসলাম গ্রহণে এগিয়ে এল। তখন ব্রাহ্মণ ও সমাজপতিগণ দুটি ব্যবস্থা নিলেন। ১. ধর্ম সংস্কার ও ভক্তি আন্দলনে ও ২.সামাজিক পৃথকীকরণ। চৈতন্যদেব তো একটা আস্ত সমাজ বা সম্প্রদায় ই গড়ে তুললেন। এর ফলে জাতি ব্যবস্থা অনেকটাই কোমল আকার ধারণ করে। অবশ্য এক্ষেত্রে তথাকথিত শুদ্রদের ধর্মের প্রতি অসম্ভব ভালোবাসার কথাও উল্লেখ করতেই হবে।শত প্রলোভন,অত্যাচারেও তাঁদের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ পিতা মাতার ধর্ম ত্যাগ করেননি।

(৬)ব্রিটিশ যুগ: ইংরেজদের আগমনের ফলে হিন্দু সমাজে শাপে বর হলো। একদিকে নব্য শিক্ষা ব্যবস্থায় জাতি প্রাধান্য চলে গেল এবং শিক্ষায় সকলের সমান অধিকার প্রতিষ্ঠিত হল।অন্যদিকে নবজাগরণের প্রভাবে জাতিভেদ প্রায় চলে গেল বললেই চলে।টিকে থাকল শুধু সামাজিক বিবাহে আর ব্রাহ্মণদের উপনয়ন সংস্কারে। ব্রিটিশরা আসায় বা বিশেষ করে মিশনারিরা আসায় একদিকে যেমন আঞ্চলিক ভাষার উন্নতি হল ,অন্যদিকে তেমনি খৃষ্টান ধর্মের প্রসার রোধ করতে প্রাচীনপন্থী ও আধুনিকমনস্ক হিন্দুরা একটা জায়গায় এসে মিলিত হলো।এই সমন্বয়ের কারিগররা ছিলেন জাতিভেদ বিরোধী।ফলে এই প্রথা আরো দুর্বল হয়ে স্বাধীনতা আন্দলনের শক্তিবৃদ্ধি ঘটিয়েছে।

(৭)স্বাধীন ভারতের সংবিধানে অবহেলিত জাতি ও জনজাতি গুলিকে আত্মোন্নতির জন্য কিছু রক্ষাকবচের ব্যবস্থা করায় ঐ ঐ জাতিগুলির একটা বড় অংশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের ফলে জাতি ব্যবস্থার প্রাসঙ্গিকতাই নষ্ট হতে চলেছে। আজ লক্ষ্য করলে দেখা যাবে সনাতন ধর্মের গৈরিক পতাকা অতীতের অবহেলিত জাতিগুলির থেকে উঠে আসা নেতৃত্বের হাতেই ধরা রয়েছে।

সুতরাং গত কয়েক হাজার বছরের সনাতন ধর্মের একটা বিরাট সমস্যা বা দুর্বলতার ভিত্তিই যেখানে উপড়ে ফেলা হচ্ছে সেখানে "জাতি কাকে বলে? কয়প্রকার ও কী কী?" এ জাতীয় প্রশ্নের প্রাসঙ্গিকতা হারিয়ে যায়।





কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Post Top Ad

Your Ad Spot